প্রামাণ্যচিত্রঃ কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের কিছু ভিত্তিহীন সাংঘর্ষিকতা [পর্বঃ০১] বিষয়ঃ মহাবিশ্ব
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমরা অনেকেই মনে করি ইসলাম কখনোই বিজ্ঞানকে সমর্থন করে না। আসলে কথাটা পুরোপুরি সঠিক নয়, অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইসলামের সাথে বিজ্ঞান একমত হয় না। আমরা সেটার কথা বলবো না। আজ বলবো কিছু বিজ্ঞানী ও নাস্তিকদের তৈরী ভিত্তিহীন যুক্তির কথা যা তারা সম্পূর্ণ না বুঝেই বলে থাকে। চলুন মূল প্রসঙ্গে যাই। মহান আল্লাহ তায়ালা আল-কুরআনের সূরা কাফের ৩৮ নম্বর আয়াতে বলেন, وَلَقَدْ خَلَقْنَا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ وَمَا مَسَّنَا مِنْ لُغُوبٍ এর প্রকৃত অর্থ হচ্ছে, “আমি মহাবিশ্বের সবকিছু সময়ের ছয় স্তরে সৃষ্টি করেছি এবং ক্লান্তি আমাকে কখনো স্পর্শ করতে পারে না।” এই একই কথা সূরা ফোরকানের ৫৯ নম্বর আয়াতেও উল্লেখিত হয়েছে। এখানে আরবিতে লেখা “আয়্যাম” শব্দটি সাধারণ অর্থে দিন বোঝাতেই ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু এর দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে সময় বা কাল। আর এটাকেই ভুল বুঝে নাস্তিকেরা কুরআনের ভুল ধরে বেড়ায়। যেহেতু, Bigbang তত্ত্ব থেকে জানা যায়, Bigbang সংঘটিত হওয়ার প্রায় ৯ বিলিয়ন বছর পর পৃথিবী সৃষ্টি হয়।...